ফেসবুক এড ক্রিয়েট করবেন কিভাবে?



 অনেক অনেক টাকা খরচ করে একটা অ্যাড দিচ্ছেন তবুও যদি অ্যাড টা সাকসেসফুল অ্যাড না হয় তাহলে শধু টাকা টা ই নষ্ট হয় না সাথে সাথে বিজনেস করার মনবল টাও কমে যেতে থাকে। আর একটা সাকসেসফুল অ্যাডই পারে আপনার সেল বহুগুনে বাড়িয়ে দিতে।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক একটা সাকসেসফুল অ্যাড দিতে গেলে যে ৩ টি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার তা সম্পর্কে-

বিবেচনার বিষয়– ১ – টার্গেট অডিয়েন্সঃ

যেকোন অ্যাডের ক্ষেত্রেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ন হল সঠিকভাবে টার্গেট অডিয়েন্স সেট করা, যে যত নিখুঁত ভাবে টার্গেট অডিয়েন্স সেট করতে পারবে তার অ্যাড সাকসেসফুল হওয়ার সম্ভবনা তত বেশি থাকবে। আপনার প্রোডাক্ট এর সাথে রিলেটেড এমন অডিয়েন্স সিলেক্ট করতে হবে এবং এর জন্য কিছুটা সময় বের করে আগে ভাবতে হবে যে কোন এলাকার মানুষ আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কেমন নিতে পারে , কোন বয়সের মানুষের কাছে আপনি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পৌছাতে চান আর তাদের পছন্দ ও অপছন্দ সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে।

সব থেকে ভাল হয় আপনি যদি লেয়ার্ড বেস অডিয়েন্স সেট করতে পারেন। অডিয়েন্স অনেক বেশি পরিমানে টার্গেট করা ঠিক হবে না আবার অনেক বেশি ন্যারো ও করা যাবে না। বাজেট অনুযায়ী একটা স্ট্যাবল পর্যায়ে রাখতে হবে। টার্গেট অডিয়েন্স সঠিকভাবে হলে অ্যাড সাকসেসফুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।


বিবেচনার বিষয় – ২ – সঠিক বাজেট নির্ধারনঃ

অ্যাডের ক্ষেত্রে বাজেট গুরুত্বপূর্ন ,হ্যা খবই গুরুত্বপূর্ন । সেটা আমরা আমারা আমাদের ট্রেডিশনাল টিভি কিংবা নিউজ পেপার অ্যাডে দিকে তাকালেই বুঝতে পারি, যে অ্যাডের বাজেট যত বেশি হয় টিভি তে বা নিউজ পেপারে সেই অ্যাড তত বড় করে বেশি সময় ধরে দেখানো হয় ফেসবুকের ক্ষেত্রেও অনেকটা ই এরকম হয়।
লো বাজেটের অ্যাড গুলোর সাকসেস রেট অনেক কম থাকে এর কারন হল – লো বাজেটের অ্যাডের চেয়ে হাই বাজেটের অ্যাড ফেসবুকের কাছে অনেক বেশি গুত্বপূর্ন। আর তাছাড়া একটা অ্যাড সাবলিল ভাবে চলার জন্য যে সময়ের প্রোয়োজন লো বাজেটের অ্যাড গুলো সেই সময় টা পায় না ফলে অ্যাড ঠিক মত রান হওয়ার আগেই বাজেট শেষ হয়ে যায়।
নতুনরা অ্যাড দেওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় ভূল করে বাজের নির্বাচনে এর কারন হল- তারা আগে কম বাজেটে দেখতে চায় কেমন রেসপন্স আসে তারপর বাজেট বাড়ানো চিন্তা করে কিন্তু কম বাজেটে অ্যাড সাকসেসফুল না হলে তখন হতাস হয়ে পড়ে।

বিবেচনার বিষয় – ৩- অ্যাডের কনটেন্ট কোয়ালিটিঃ

কথায় আছে “প্রথমে দরশন ধারি, পরে গুন বিচারি” আমার মনে হয় কথা টা প্রায় সব ক্ষেত্রের জন্যই প্রযোজ্য, বিশেষ করে অনলাইন প্লাটফর্মে তো আরো অনেক বেশি কারন অনলাইনে কিন্তু কেউ হাতে ধরে যাচাই করে কোন কিছু কেনার সুযোগ পায় না। সবাই শুধু চোখের দেখাতেই কিনে ফেলে।

চেষ্টা করুন খুব ভাল কোয়ালিটির ছবি / ভিডিও যুক্ত করার আর সেই সাথে যে কনটেন্ট লিখবেন তা ধরা বাধা নিয়মের বাহিরে এসে লেখার চেষ্টা করুন। কনটেন্টে কিছু টা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন একটু নতুন কিছুই আপনার বিজনেস কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে অনেক দূর, আপনার সেল বৃদ্ধি করাতে পারে অনেক গুন।
সব শেষে বলতে চাই, সব সময় সততার সাথে বিজনেস করুন, আপনার কোন সার্ভিসে বা প্রোডাক্টে কাস্টমারের যেন কোন লস না হয় সে দিক টায় খেয়াল রাখুন, কাস্টমারের সাথে নমনীয় হোন , কোনালিটি সার্ভিস / কোয়ালিটি প্রোডাক্ট সেল করুন, ধৈর্যধরে লেগে থাকুন, আপনার বিজনেস সফল হবেই ইনশাআল্লাহ।

কন্টেন্ট ক্রেডিটঃ
ডিজিটাল মার্কেটার ও ওয়েব ডেভেলপার

Next Post Previous Post