ফেসবুকে প্রোমোট বা এড রান করছেন? দেখে নিন ফেসবুক অ্যাডের ৫ ভূল!
আমরা সবাই ফেসবুকে অ্যাড দেই অধিক সেল ও অধিক লাভের আশায় কিন্তু আপনার অ্যাড টি যদি ভূল্ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে আপনার “সে গুড়ে বালি!”
ভুলভাবে অ্যাড তৈরি করলে যেমন আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন না তেমনি হতে পারে ফেসবুকের কুনজরেও পড়ার সম্ভবনা আছে। তাই সঠিক ভাবে অ্যাড তৈরি করুন। চলুন যেনে নেওয়া যাক ফেসবুক অ্যাডের ৫ ভূল!
ভূল নাম্বার ১- সঠিক ক্যাম্পেইন অবজেক্টিভ সিলেক্ট না করাঃ
অনেকই যে ভূল টা করে থাকেন অ্যাড সেন্টার থেকে বুষ্ট করেন অর্থাৎ ফেসবুকের পোষ্টের নিচে যে বুষ্ট বাটন আছে ওটাতে ক্লিক করে বুষ্ট করেন বিশেষ করে নতুনরা এই কাজ টি বেশি করেন। অ্যাড ম্যানেজার সম্পর্কে না জানার কারনেই অনেকে এমন টা করে থাকেন। আপনি কখনও এমন টা করবেন না সব সময় চেষ্টা করুন আডম্যানেজার থেকে ক্যাম্পেইন ক্রিয়েট করার।
আপনার পেজের প্রোয়োজন অনুযায়ী সঠিক ক্যাম্পেইন অবজেক্টিভ সিলেক্ট করুন। অনেকেই না জেনেই ফেসবুক এর ডিফল্ট ক্যাম্পেইন অবজেক্টিভ ট্রাফিক সিলেক্ট করে থাকেন যদিও অন্য ক্যাম্পেইন অবজেক্টিভ হয়ত এর চেয়ে বেটার রেজাল্ট দিত।
এখন আপনার পেইজে কি লাইক বাড়ানো দরকার, নাকি এঙ্গেইজমেন্ট? লিড জেনেরেট করা দরকার নাকি সেল? আপনি কি ওয়েবসাইট থেকে সেল করতে চাচ্ছেন নাকি সরাসরি দোকান থেকে এসে দেখে মানুষ পন্য কিনুক তা চাইছেন? আপনি কি আপনার এক্সিস্টিং প্রোডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন নাকি প্রি-অর্ডার চাচ্ছেন? এই ধরনের ভিন্ন ভিন্ন অব্জেক্টিভের বিপরীতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অ্যাড রান করতে হয়। আপনি আপনার প্রোয়োজন অনুযায়ী সঠিক ক্যাম্পেইন টা সিলেক্ট করুন।
অ্যাড থেকে ভালো ফলাফলের জন্য সঠিক অবজেক্টিভ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন কারন ভুল অবেজেক্টিভ নির্বাচন করে কখনোই সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যাবে না।
ভূল নাম্বার ২- সঠিকভাবে টার্গেট অডিয়েন্স সিলেক্ট না করাঃ
টার্গেট অডিয়েন্স সিলেকশন করাটা অনেক ট্রিকি একটা কাজ, আপনি অবশ্যই জানেন সব পন্য সবাই কিনবে না বা আপনি নিজেও সবার কাছে আমভাবে মার্কেটিং করবেন না। তাহলে অবশ্যই একশ্রেণীর ক্রেতা আছে যারা আপনার পন্যটি কিনতে চায় বা আপনিও সেই ক্রেতাশ্রেণীকে খুঁজে বের করতে চান। কিভাবে টার্গেট কাস্টমার সেট করবেন- আপনার প্রোয়োজন অনুযায়ী আপনার লোকেশন, এইজ, জেন্ডার, ডেমোগ্রাফিক, লাইক ইত্যাদি সিলেক্ট করুন।
মনে রাখবেন কখনই অনেক বেশি বা অনেক কম অডিয়েন্স টার্গেট করবেন না।
অনেক বেশি টার্গেট সিলেক্ট করলেও যেমন আপনার সঠিক ক্রেতার কাছে আপনার অ্যাড পৌছানোর সম্ভবনা কম তেমনি অনেক কম টার্গেট করলেও তেমন টি ই হতে পারে। তাই খুব সতর্কতার সাথে সঠিক অডিসেন্স টার্গেট করুন।
না পারলে এক্সপার্টের পরামর্শ নিন।
ভূল নাম্বার ৩ - অ্যাডে ভিন্ন কিছু অফার না করাঃ
আপনি যদি আপনার অ্যাডে ভিন্ন কিছু না রাখেন তাহলে আপনার অ্যাড ফেইল করার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকবে। আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট এর অ্যাড দেন তাহলে আপনার অ্যাডের মধ্যে কিছু ভিন্নতা থাকা প্রোয়োজন। হতে পারে এটা মার্কেটে বেস্ট প্রাইস প্রোডাক্ট, হতে পারে আপনার প্রোডাক্টে এক্সট্রা ফিচার আছে, হতে পারে এটা খুব সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা একটা পোডাক্ট কিন্তু মনে রাখবেন অবশ্যই আপনাকে কিছু না কিছু অফার করতেই হবে আপনার অ্যাড সাকসেসফুল করতে তাছাড়া কেউ আপনার অ্যাডে কোন একশন নিবে না।
ভূল নাম্বার ৪ - প্রোডাক্টের ভিডিও/ছবির দিকে নজর না দেওয়াঃ
অ্যাডের ফলাফল সবথেকে বেশি যে জিনিসটির উপর নির্ভর করে তা হলো অ্যাডের প্রোডাক্টের ছবি/ভিডিও ঊদ্দেশ্যের ভিন্নতায় অ্যাডের কন্টেন্ট-ও ভিন্ন হতে হয়। আপনার সেবা বা পন্যের জন্য যে ধরনের মিডিয়া (লেখা/ছবি/ভিডিও) ব্যবহার করছেন তার উপর অ্যাডের সফলতা নির্ভর করে অনেকাংশে। বর্তমানে ক্রেতারা আর্টিফিসিয়াল/এডিটিং ছবির চেয়ে যেসব ছবি দেখতে একেবারে ন্যাচারাল লাগে সেগুলোতেই বেশি আকৃষ্ট হয়।তাই ছবি এমন ভাবে তোলার চেষ্টা করুন যাতে ছবি দেখতে একেবারে ন্যাচারাল মনে হয়।
ভূল নাম্বার ৫ - সঠিক বাজেট নির্ধারন করতে না পারাঃ
অনেক টাকা ব্যয় করলেই সেল আসবে এই ধারণাটা যেমন ভুল তেমনি অনেক কম অর্থ ব্যয়ে অনেক সেল আশা করাটাও ভুল। অ্যাডের ধরন ও উদ্দেশ্য বিবেচনা করে অ্যাডের জন্য সঠিক বাজেট নির্ধারন করতে হবে। এক্ষেত্রেও অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিয়ে অ্যাড রান করা উত্তম হবে। বর্তমানে দিনের পর দিন ফেসবুকে যেভাবে অ্যাডের পরিমান বাড়ছে তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাজেট বেশি রাখতেই হবে। এবং বাজেটের সাথে অ্যাডটি কতদিন ধরে চলবে সেটাও সমপরিমান গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক কে সময় দিতে হবে আপনার অ্যাডটি সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর। অনেক ই দেখাযায় ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ফলাফল না পেয়ে অ্যাড বন্ধ করে দিতে চায়। এত তারাতারি ফলাফল আশা না করে ধৈর্যধরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে তবেই আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব।
কন্টেন্ট ক্রেডিটঃ
ডিজিটাল মার্কেটার ও ওয়েব ডেভেলপার